অর্থপাচার সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট আদালতে গৃহীত হয়েছে।
মামলাটির চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন মামুনের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কোয়েল।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হক সময়ের আবেদন নাকচ করে মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়ে চার্জ শুনানি জন্য আগামি ৬ জুন দিন ধার্য করেন। মামলাটি বিচারের জন্য বদলীরও নির্দেশ দেন তিনি।
মামুনের আইনজীবী কোয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ‘একই বিষয় দুদক ২০০৭ সালে মামুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলায় মামুন ও তার স্ত্রীর সাজাও হয়। একই বিষয়ে দুইবার মামলা করা যায় না। চার্জ শুনানির সময় বিষয়টি আমরা আদালতের নজরে আনবো।’
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলায় বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলীর রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের কাজ পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন।
এজহারে বলা হয়েছে, মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দিয়ে আদায় করা প্রায় ৬ কোটি, এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা কমিশন কয়েক দফায় বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে গত ২৯ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন মামুন। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, করফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা হয়। কয়েকটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় তিনি এখনো কারাবন্দি রয়েছেন।