প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈমষ্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয়-দফার স্বপক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। বৈমষ্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেন বাঙালির মুক্তির মহান নেতা।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে উঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করে। যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ২০ জানুয়ারি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এ দিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শহিদ হন।’
তিনি বলেন, ‘কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারা বাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ছাত্র-জনতার এক সমাবেশে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদুজ্জামান।’
বাণীতে শহীদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।