সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী (৩০ মে) উপলক্ষে ৮ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে তার দল। আগামী ২৯ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত বিশেষ এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আওতায় ২৯ মে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, ১ জুন ছাত্রদলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ২ জুন শ্রমিক দলেল উদ্যোগে আলোচনা সভা, ৩ জুন জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ও যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা এবং ৪ জুন তাতী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
সভায় সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকে নেওয়া আন্দোলন কর্মসূচি সফল করার নীতি-কৌশল নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি জানান, ২০ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গণঅনশন হবে। এছাড়া ২৩ মে স্মারকলিপি প্রদান ও ২৭ মে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে সভায়।
তবে গণঅনশন ভ্যেনু এ সভায় ঠিক করা হয়নি বলে জানান মির্জা ফখরুল। আর ‘বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া আসন্ন গণঅনশনে সশরীরে অংশ নেবেন কি না তা পরে জানানো হবে’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এ সময় বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যেতে বাধা দিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিতে কান না দেওয়ায় সরকারেরও সমালোচনা করেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সালাউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
যৌথসভা শেষে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের স্মরণে মিলাদ অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।