কিছুদিন আগেই বলেছেন, আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসিকে নিজের সঙ্গে তুলনা করতে রাজী হননি ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। তার মতে, মেসি ম্যারাডোনারও ধারেকাছে থাকার যোগ্য নয়! সেই পেলে এবার ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপেকে নিজের সাথে তুলনা করে বলেছেন, এই তরুণের মধ্যে যে ধরনের গুণাবলী আছে তাতে তার সমকক্ষ হতে খুব বেশি দিন লাগবে না।
বিশ্ব ফুটবলে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে সবসময়ই বিবেচনা করা হয় ‘কালোমানিক’ খ্যাত পেলেকে। ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয় পেলেকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। একইসাথে তার নেতৃত্বে সান্তোস ছয়টি ব্রাজিলিয়ান লিগ শিরোপা ছাড়াও দুটি কোপা লিবারেটেডোরস শিরোপা জিতেছে। ১৯৭৭ সালে পেলের বর্ণাঢ্য ফুটবলীয় ক্যারিয়ার শেষ হয়।
৭৮ বছর বয়সী এই ফুটবলীয় কিংবদন্তির সমতুল্য হতে হলে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই (পিএসজি) তারকা এমবাপেকে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে যেভাবে ফ্রান্স বিশ্বকাপ জয় করেছে তাতে অনেকেই তার মধ্যে সাবেক তারকাদের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। ১৯৫৮ সালে টিনএজার হিসেবে পেলে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন।
সেই স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘এমবাপে ১৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জয় করেছে। আমি যখন প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছি তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৭। আমি বিশ্বাস করি, সে নতুন পেলে হিসেবে আবির্ভূত হবে। অনেকেই হয়ত মনে করতে পারে আমি উপহাস করে একথা বলছি, মোটেই না। এটা কোন কৌতুক নয়।’
ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক নেইমারকে ছাপিয়ে ইতোমধ্যেই এমবাপে পিএসজির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। নেইমারকে নিয়ে প্রতিনিয়ত বার্সেলোনায় ফিরে যাবার বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। সে কারণেই হয়তবা কিছুটা হলেও নেইমারের থেকে দৃষ্টি সড়ে যাচ্ছে পিএসজি সমর্থকদের।
পার্ক ডি প্রিন্সেসে বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হিসেবে নেইমার আসার পর থেকে মাঝে মাঝেই ইনজুরির কারণে সমস্যায় পড়েছেন। তবে পেলে এসব বিষয় মোটেই আমলে না নিয়ে বলেছেন, ‘একজন বাবা কখনই সমালোচনা করতে পারেনা, সে উপদেশ দিতে পারে। সে সান্তোসের ছেলে। আমি তার কাছ থেকে জাতীয় দলের জন্য সেরাটাই প্রত্যাশা করব। এজন্য তাকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত আছি।’