তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: আইনমন্ত্রী

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ বিধানকে আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। যা সংবিধানে আর প্রতিষ্ঠার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আয়োজিত স্বাধীনতার ‘চার দশক: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্মান্তরিত ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধী। সেই সঙ্গে যারা গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে।’

শফিক আহমেদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করলেও বিচার বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। দেশ-বিদেশে যতই ষড়যন্ত্র হওক তা সফল হবে না।’ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরাধীরা যাতে পার না পায় সেজন্যই এ বিচার বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘অনেক যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত কাজ চলছে। এ বছারের মধ্যেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা হবে।’

তিনি চারদলীয় জোটের সমালোচনা করে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে জোট বেঁধে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই বিচার নিয়ে তাদের বক্তব্যে কোনকিছু আসেও যায় না।’

স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক, এ নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় আছে। তাই এ বিষয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।’

সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম শফিউল্লাহ বীরউত্তম বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দালাল আইন করে সাড়ে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিলেন। তাদের মধ্যে ২২ জনের ফাঁসির আদেশ এবং ৭৫২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দালাল আইন বাতিলের মাধ্যমে সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’

শফিউল্লাহ দালাল আইন কার্যকর করে তাদের সাজা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘শাহ্ আজিজ ও খান এ সবুর দেশদ্রোহী। আর সংসদ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ফল। তাই সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাদের লাশ সরিয়ে ফেলতে হবে।’

জবি উপাচর্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী সাইফুদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম।

বাংলাদেশ রাজনীতি