অবশেষে কানাডায় বৈধ আশ্রয় পেলেন সৌদি তরুণী রাহাফ মুহাম্মেদ আল কুনুন (১৮)। হঠাৎ করে রাহাফের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তার আশ্রয়ের ব্যাপারে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাহারে সংশয় তৈরি হয়েছিল।
শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাকে আশ্রয় দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থাই কর্মকর্তারাও এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কুনুন টরেন্টোর পথে রয়েছেন।
ট্রুডো জানিয়েছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কুনুনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে টরেন্টোকে অনুরোধ জানিয়েছিল।
তিনি বলেন, মানবাধিকার এবং বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকারের জন্য পাশে দাঁড়ানো কতোটা গুরুত্বপূর্ণ কানাডা সেটা বোঝে। আমি নিশ্চিত করছি আমরা জাতিসংঘের অনুরোধ রক্ষা করেছি।
এ পদক্ষেপের কারণে কানাডার সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের শেষ দিকে নারী অধিকার কর্মীদের ওপর সৌদি দমননীতির সমালোচনা করায় কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল রিয়াদ। এরপর থেকেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।
পরিবারের সঙ্গে কুয়েত ভ্রমণে থাকার সময় গত ৪ জানুয়ারি পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন কুনুন। কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তার অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইটে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাংকক বিমানবন্দরে তিনি আটকা পড়েন। সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক তার পাসপোর্ট জব্দ করে। থাই কর্তৃপক্ষ তাকে কুয়েত ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলে হোটেল কক্ষ ছাড়তে অস্বীকার করেন কুনুন। ওই হোটেল কক্ষ থেকে টুইটারে নিজের ও পাসপোর্টের ছবি দিয়ে রাহাফ বলেন, ইসলাম অবমাননা করায় তার পরিবার ক্ষুব্ধ এবং তাকে সৌদি নিয়ে হত্যা করা হবে।