টানা ওয়ানডে খেলার পর একদিনের বিশ্রাম ঘোষণা করে জাতীয় দল। পাকিস্তান ক্রিকেট দলও বিশ্রামে ছিলো। তারপরেও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস এবং স্পিনার ইলিয়াস সানি অনুশীলনে গিয়েছিলেন একান্তই নিজেদের আগ্রহে।
মুশফিকুরের তো ভালো খারাপ খেলতে হয় না, সুযোগ পেলেই অনুশীলনে যান। বাকি দুইজন যোগ হয়েছেন একটু ফর্মে ফেরার আশায়। যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজে মুশফিকুরও রান করতে পারেননি,“দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধিনায়ককে ফর্মে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগের সিরিজগুলোতে আমি এবং সাকিব রান করেছি। দল ভালো করেছে। এবার আমরা দু’জনের কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারিনি। টেস্টে আমাদেরকে ভালো খেলতে হবে। বিশেষ করে আমাকে রানে ফিরতে হবে। তা না হলে দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
একমাত্র টি-টোয়েন্টির পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা পর্যন্ত গড়ে তুলতে পারেনি। টেস্টে অতটা খারাপ হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক,“আমাদের বোলাররা ভালো করছে। আমরা যারা ব্যাটসম্যান আছি তারা যদি অবদান রাখতে পারি, আশা করি টেস্ট সিরিজ খারাপ হবে না।”
২০১১ সালটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন তিনবার শতরানের নিচে অলআউট হয়েছে। টেস্ট হয়েছে তিনটি যার একটিও জিতেনি। এমনকি জিম্বাবুয়ের কাছেও একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি হেরে এসেছে। যদিও চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘিœত প্রথম টেস্ট ড্র করে। কিন্তু ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে বাজে ভাবে হারে। পাকিস্তান দল যে ফর্মে আছে, তাদেরকে টলানো সত্যিই কঠিন হবে।