নতুন বছরের প্রথম কল নোটিস অনুযায়ী এডিপির আকার ১৩ হাজার ৬৮ কোটি টাকা কমিয়ে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে।
খসড়ায় এডিপির আকার ৬৭ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৫৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এ খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভুঁইয়া সফিকুল ইসলামসহ পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এডিপি প্রণয়নে গত ২৯ মার্চ নীতিমালা জারি করে পরিকল্পনা কমিশন। এরপর সব সেক্টর বিভাগ/মন্ত্রণালয়/বিভাগের কাছ থেকে ৬৭ হাজার ৩শ ৬৮ কোটি টাকার চাহিদা আসে। যার মধ্যে ৪৫ হাজার ৮৬৮ কোটি সরকারি অনুদান এবং ২১ হাজার ৫০০ কোটি প্রকল্প সাহায্য।
কিন্তু বাজেট মনিটারিং ও সম্পদ কমিটির সভায় এর আকার ৫৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নিধারণ করা হয়। যার মধ্যে ৩২ হাজার ৮০০ কোটি সরকারি অর্থ এবং প্রকল্প সাহায্য ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
২০১২-২০১৩ অর্থবছরের এডিপি খসড়া প্রস্তাবে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ১৭টি খাতকে। এ খাতগুলোতে বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৫১ হাজার ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারি অর্থ ৩০ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২০ হাজার ১১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, খসড়া প্রস্তাবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতকে। এ খাতে মোট ৭ হাজার ৯১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া পদ্মা সেতু এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে পরিবহন খাতে। যেখানে মোট বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে ৭ হাজার ৭৬৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সড়ক পরিবহনে ৩ হাজার ৮৬৪ কোটি ৬০ লাখ এবং রেলওয়ে, নৌ ও বেসামরিক বিমান পরিবহনে ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি ৩৭ টাকা।
শিক্ষা ও ধর্ম খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ৬ হাজার ৩৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব হয়েছে ৬ হাজার ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এডিপির এ খসড়া প্রস্তাব পরবর্তীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন করা হবে।