মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশের চারটি চেক পোস্টে হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আরাকান আর্মি। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও নয় পুলিশ সদস্য।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আজ শুক্রবার মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে এ হামলা হয় বলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং ওই সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ সদস্যদের হত্যা প্রসঙ্গে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা বলেছেন, ‘এই স্বাধীনতা দিবসকে তারা তাদের জন্য স্বাধীনতা দিবস বলে মনে করেন না; তারা এখনও স্বাধীন নন। এই হামলা সম্প্রতি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো হামলার জবাব। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলায় সাধারণ নাগরিকরাও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।’
আরাকান আর্মির মুখপাত্র বলেন, ‘শুক্রবার পুলিশের চারটি চৌকিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় নিহত “শত্রুর” লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের হাতে আটক রয়েছে মিয়ানমারের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য। এদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলার বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের কয়েক মিনিট পরেই আরাকান আর্মি চৌকিগুলোতে হামলা চালায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর থেকে রাখাইন আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত বেড়েছে। আরাকান আর্মি রাখাইনের বৌদ্ধদের জন্য আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন চায়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত ডিসেম্বরে চার মাসের জন্য অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছিল দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে, যাতে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করা যায়। কিন্তু অস্ত্রবিরতির এই ঘোষণার আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল রাখাইনকে। জাতিসংঘের মতে, আরাকান আর্মির হামলায় গত বছরের শেষ নাগাদ প্রায় আড়াই হাজার মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে।