জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেয়া কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেয়া কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তবে জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ইসির ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত বা জামায়াতের ২৫ প্রার্থীকে ভোটের অযোগ্য ঘোষণা করেননি আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হাসেন সাজু। আর জামায়াত নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

আদেশের পর নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ জনকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার আবেদন করা হয়েছিল রিটে। আদালত সে নির্দেশনা দেয়নি। ফলে ২৫ প্রার্থীর নির্বাচন করতে বাধা নেই।’

জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা ধানের শীষ প্রতীকে এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল বুধবার রিট করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। শুনানিতে তিনি অংশ নেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী শিশির মনির।

ওই প্রার্থীদের কেউ পাস করলে গেজেট প্রকাশ না করতে রিটকারীর আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।

এদিকে ওই ২৫ প্রার্থীর অংশগ্রহণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে বিবাদী করা হয়েছে। তাদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আইন আদালত