স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে দেশের ফুটবলের নতুন পাওয়ার হাউস বসুন্ধরা কিংসের মোকাবেলা করবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
আসন্ন ফাইনালের আগে শিরোপা জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি ক্লাবই। শিরোপা জয়ের মাধ্যমে হাসি মুখে ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুমটির ইতি ঘটাতে চায় উভয় পক্ষ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাকক্ষে গতকাল ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শেখ রাসেলের কোচ একেএম সাইফুল বারী টিটু বলেন, আসন্ন ফাইনালে তার দলই ফেভারিট। ছেলেরা যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেদের সেরাটা দিতে পারে তাহলে ম্যাচের ফল তাদের পক্ষেই যাবে। গ্রুপ পর্বে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটে দলটি।
চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় দলটি। আর ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ব্রাদার্সকে হারায় একই ব্যবধানে। তাই শুরু থেকে ফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসার কৃতিত্বটা ফুটবলারদেরই দিলেন কোচ টিটু। বলেন, ‘শুরুটা খুবই কঠিন ছিল। এখন ফাইনালে খেলছি। পুরো কৃতিত্বটাই ফুটবলারদের।’
২০১২-১৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ তিনটি শিরোপাই জয় করেছিল শেখ রাসেল। ওই বছরেই সুপার কাপে রানার্সআপ হয় দলটি। কোচ মারুফুল হকের তত্ত্বাবধানে সেটাই ছিল ক্লাবটির সোনালি মুহূর্ত।
এর পর পাল্টে যায় তাদের চেহারা। দল ছাড়েন কোচ মারুফুল হক। দলে সেরা মানের ফুটবলারের ও ঘটিতেতে পড়ে। তবে এই মৌসুমে ফের জেগে উঠেছে শেখ রাসেল। কোচ সাইফুল বারী টিটুর তত্বাবধানে স্বাধীনতা কাপে ম্যাড় ম্যাড়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ফাইনাল খেলছে তারা।
রাসেলের অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানাও শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ফাইনালে সেরা ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয় করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার দল। বলেন, ‘আগে যারা গোল করবে, তারাই এগিয়ে থাকবে ম্যাচে। সে জন্য আমরাই এগিয়ে থাকতে চাই।’
টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি ফাইনালে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে শেখ রাসেল। দ্বিতীয় সেমি -ফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে সাডেন ডেথে ৭-৬ গোলে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বসুন্ধরা কিংস।