রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দলমত নির্বিশেষে সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আর মাত্র চারদিন বাকি রয়েছে। আমি আশা করছি যে, দলমত নির্বিশেষে আপনারা সবাই নির্বাচনের দিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’
রাষ্ট্রপ্রধান আগামী দিনগুলোতে সুখী, সমৃদ্ধ ও আনন্দময় জীবন কামনা করে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি শুভেচ্ছা জানান।
এ দেশে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’
যিশু খ্রিস্টকে মুক্তির দূত ও আলোক বর্তিকা অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যিশু খ্রিস্ট বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচার করেছেন এবং তার দর্শন ছিল ভালবাসা, সেবা, ক্ষমা ও সমবেদনা ভিত্তিক একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যিশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও ধারণা এই সমস্যা জর্জরিত বিশ্বে শান্তি, সম্প্রতি ও বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ।’
রাষ্ট্রপতি হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী রাশিদা খানম বঙ্গভবনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন। এখানে আলোকসজ্জাসহ একটি খ্রিসমাস ট্রি স্থাপন করা হয়।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, ডিপলোমেটিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশনের প্রতিনিধিগণ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে ক্রিসমাস ক্যারোল পরিবেশন করে।
পরে রাষ্ট্রপতি হামিদ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক কাটেন এবং তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
খবর বাসস