ভোটারদের আস্থা বাড়াতেই সেনাবাহিনী মোতায়েন : সিইসি

ভোটারদের আস্থা বাড়াতেই সেনাবাহিনী মোতায়েন : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য সেনাবাহিনী যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে। আমি মনে করি যে অল্প কিছু অরাজকতা ছিল, তা এখন দূর হবে।

আজ সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যে কোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, তখন তারা নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়ে সে পরিস্থিতি সংযত করবে। এগুলোর আইন আছে। ‘এইড টু সিভিল পাওয়া’-এর আলোকে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্কবিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবল নির্বাচনী প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনে নিবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এলে আরও সহায়তা হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপ্রীতিকর সবকিছু এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে।

নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি জানতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিমতের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিচার বিশ্লেষণপূর্বক পাইলট প্রকল্প হিসেবে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করছি। যদিও ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তাদের সন্দেহ থাকার কারণে আমরা খুব অল্পসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করছি। যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তারা এখন এসে দেখুন, এর সম্পর্কে জানুন। আমি আশা করি, তাদের সন্দেহ ভেঙে যাবে।

তিনি বলেন, মূলত ইভিএম পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া, সেনাবাহিনীর এ বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তাই তারাও সহযোগিতা করবে। ছয়টি নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। এবং সেটার জন্য এখানে যে ট্রেনিং কার্যক্রম চলছে, সেটা আমি পরিদর্শন করলাম। এখানে প্রত্যেকেই ভালোভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এখানে সবাই জানে কীভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়। কীভাবে ভোট সমাপ্ত করে গণনা করতে হয়।

বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দিচ্ছে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে আমার চেয়ে ডিএমপি ভালো জানে। তাদের সঙ্গে আমার এখনো কথা হয়নি। আমি শিগগিরই তাদের সঙ্গে কথা বলব।

Featured বাংলাদেশ শীর্ষ খবর