আমজাদ হোসেনকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

আমজাদ হোসেনকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে আনা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার পরে আমজাদ হোসেনের মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের উপস্থিতিতে এই নির্মাতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানান- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, রামেন্দু মজুমদার, লায়রা হাসান, মামুনুর রশীদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ফকির আলমগীর, মোরশেদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন লাভলু, রোকেয়া প্রাচী, জাসাস-এর সাধারন সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান প্রমুখ।

এ ছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, জাসাস-এর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা শেষে আমজাদ হোসেনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা কার্যালয়ে। সেখান থেকে নেয়া হবে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। তারপর চ্যানেল আই কার্যালয় হয়ে আমজাদ হোসেনকে তার গ্রামের বাড়ি নেয়া হবে। সেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা চলচ্চিত্র এবং সাহিত্যের অসম্ভব গুণী মানুষ আমজাদ হোসেন।

গত ১৮ নভেম্বর নিজ বাসভবনে আমজাদ হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড নেয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সেখানকার স্থানীয় সময় ২টা ৫৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন আমজাদ হোসেন। পরবর্তী সময়ে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’ নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়ান। টেলিভিশন নাটক, গান, কথাসাহিত্যেও আমজাদ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

Featured বিনোদন শীর্ষ খবর