ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার জাতির সঙ্গে তামাশা : আওয়ামী লীগ

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার জাতির সঙ্গে তামাশা : আওয়ামী লীগ

ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখা এবং দুর্নীতির রোধের যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তাকে জাতির সঙ্গে তামাশা বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ।

আজ সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

আবদুর রহমান বলেন, মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এমন ইশতেহার দিয়েছে। তারা ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে তা কোনোভাবেই তাদের আচরণ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যায় না। মানুষের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা এমন ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে। এর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মানিলন্ডারিং মামলায় দণ্ডিত, ক্ষমতায় থাকতে তারা হাওয়া ভবন করে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। তাদের ইশতেহারে যদি বলা হয় দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা, তা হাস্যকর ছাড়া আর কি হতে পারে? বাংলাদেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই এসব বিশ্বাস করে না।

‘মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং ভোটের রাজনীতিতেতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার অপকৌশল এই ইশতেহার’- যোগ করেন আবদুর রহমান।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এর সমালোচনায় বলেছে, ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয় প্রশ্রয়ে যুদ্ধাপরাধীদের দল নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে। এই ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালু রাখবে, এটা কোনোদিনই দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতিকে ভূতের মুখে রাম রাম বলে মন্তব্য করে আবদুর রহমান বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মনোনয়ন দিয়ে ভোটের অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের বিষয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অবশ্যই সতর্ক আছে। এটা তাদের ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছুই না।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রার্থীদের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কামাল হোসেন যে সংশয় প্রকাশ করেছেন, তার পেছনেও চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা।

তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়েছে, তাদের মনোনয়ন বাণিজ্যে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আর তারা এর দায়ভার, দোষ আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

আবদুর রহমান বলেন, ‘এ নির্বাচন বানচালের জন্য নানা চক্রান্তের জাল বুনছে তারা। যারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে আছেন তাদেরকে হুঁশিয়ার করতে চাই, যে কোনো মূল্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ।

রাজনীতি শীর্ষ খবর