একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার জাতির সামনে তুলে ধরবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর এখন ক্যাম্পেইনের উপরে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু ইশতেহার একটা ক্যাম্পেইনের বিষয়। তাই কমিশন যখন প্রতীক বরাদ্দ করবে তারপর কিংবা এক দুইদিন পর দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা জাতির সামনে ইশতেহার তুলে ধরবেন।’
ইশতেহারের স্লোগান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইশতেহারের জন্য আমরা কয়েকটি স্লোগান ঠিক করেছি। ওইসব স্লোগানের ভেতর থেকে যেকোন একটি স্লোগান আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেক্ট করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, আমরা ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যাব। আশাকরি, ইশতেহার জনগণের কাছে প্রশংসিত হবে। জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কৌশলকে সাদরে গ্রহণ করবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের মূল লক্ষ্য হবে উন্নয়নের মহাসড়কের গতিকে আরও বেগবান করা, তরান্বিত করা। নির্বাচনি ইশতেহারের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.৮ থেকে আরও বাড়ানো। আমরা দারিদ্র্য বিমোচন করেছি, এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ভাবনাগুলো আসবে ইশতেহারে। আগামীতে আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। দুর্নীতি প্রতিরোধে কী কৌশল হবে সেটা আমরা বলার চেষ্টা করবো।
রাজ্জাক বলেন, আগামী দিনের তরুণ সমাজ নিয়ে আমরা কী ভাবছি- তরুণ সমাজকে উন্নয়নের সাথে, দেশ পরিচালনার সাথে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সেটা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। কৃষিক্ষেত্রে এবং শিল্পায়নের উন্নয়ন কিভাবে আমরা করবো, তার বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. অনুপম সেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাসস।