রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়ে ভাঙচুর করেন এক যুবক। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই যুবকের ছবি। অবশেষে সেই যুবককে আটক করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
ডিবি সূত্র জানায়, হেলমেটধারী ওই যুবকের নাম এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান। তিনি রাজধানীর একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি। এ ছাড়া পল্টনে ওই হামলায় অংশ নেওয়া দুই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- সোহাগ ভূঁইয়া ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবীন।
আশরাফুল ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনার দিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মিছিল নিয়ে সোহাগ ভূঁইয়া, হোসেন আলী ও আশরাফুল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসেছিলেন বলে ডিবির ওই সূত্র দাবি করেছে।
এর আগে ওই দিন পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তাকে শনাক্ত করার দাবি করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস। শাহজালাল খন্দকার নামের ওই যুবক পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানান মিশু বিশ্বাস। তবে শাহজালাল খন্দকারকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয় পল্টন থানায়। মামলাগুলোতে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়।