নির্বাচন ভণ্ডুল করতেই বিএনপি নয়াপল্টনে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানোর দাবি ও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আগুন সন্ত্রাস একইসূত্রে গাঁথা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও নৈরাজৈর প্রতিবাদে’ সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়ার পর নির্বাচন ভণ্ডুল করার লক্ষ্যেই বিএনপি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছে। এরপর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিনা উস্কানিতে পলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুধু নয়, ঘেরাও করে নির্লজ্জ হামলা পরিচালনা করে ৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো, পথচারীদের উপর হামলা পরিচালনা করা হলো। অর্থাৎ তাদের (বিএনপির) নির্বাচন পেছানোর দাবি, বিএনপি অফিসের সামনে আগুন সন্ত্রাস ও হামলা একইসূত্রে ঘাঁথা।
তিনি বলেন, বাঁশ আর লাঠি নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যাওয়ার মানে হচ্ছে সংঘাত সৃষ্টির পূর্ব প্রস্ততি নিয়েই বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনে হাজির হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল ও মাহমুদুর রহমান মান্নার কঠোর সমালোচনা করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মিথ্যা ফখরুল নামটি তার যথার্থ হয়েছে।
‘আর মাহমুদুর রহমানকে নৌকা থেকে বের করে দেওয়ার পর উনি এখন খালেদা জিয়ার জন্য নাকি জীবন দিবেন এবং তিনি যে ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে উনার আর মির্জা ফখরুলের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু যারা হামলার সাথে যুক্ত তাদের নয়, যারা হামলার মদদদাতা তাদেরকেও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আর এই হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল, মাহমুদুর রহমান মান্না, রিজভীসহ যারা মিথ্যাচার করছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।