প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ নভেম্বর রবিবার। সারাদেশে এই পরীক্ষা একনাগাড়ে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এসব তথ্য জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেবে।এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ২৮ হাজার ৮২৬ জন কম। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে যার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৪ এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯ জন। এই পরীক্ষায় গতবছরের তুলনায় ২৩ হাজার ৪৭২ জন ছাত্র-ছাত্রী বেশি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৬ জন বেশি। এটি আশাব্যঞ্জক যে মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, এবছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ৭ হাজার ৪১০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ৭ হাজার ৩৯৮টি এবং দেশের বাইরে ১২টি কেন্দ্র।
মন্ত্রী বলেন, সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ্বতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় কর্মকান্ড সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন,পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে প্রশ্নপত্র থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য,প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৮ নভেম্বর ইংরেজি, ১৯ নভেম্বর বাংলা, ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২২ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৫ নভেম্বর গণিত এবং ২৬ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৮ নভেম্বর ইংরেজি, ১৯ নভেম্বর বাংলা, ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২২ নভেম্বর আরবি, ২৫ নভেম্বর গণিত এবং ২৬ নভেম্বর কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং আকাইদ ও ফিকাহ্ বিষয় অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় টায় শুরু হয়ে দুপুর ১ টায় শেষ হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। বাসস।