আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ আর পেছানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ঐক্যফ্রন্টের দাবি পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফলাফলে গেজেট প্রকাশ, উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো কর্মযজ্ঞ রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমা হবে জানুয়ারিতে। সেখানে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। মোতায়েন থাকবে লক্ষাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই ৩০ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। বাইরের পর্যবেক্ষদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ আমাদের থাকে।
‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অন্যের সিদ্ধান্ত কখনো গ্রহণ করেনি। রাজনৈতিক দলগুলো স্টেকহোল্ডার হিসেবে পরামর্শ দেয়।’
দলগুলোর জোটগত অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে কাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করবে তা জানিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও জানিয়েছে। এক্ষেত্রে আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে তারা প্রতীক পাবে। আর অনিবন্ধিত দল যেগগুলো আছে, তাদের যে দল প্রতীক দেবে সে অনুযায়ী ভোটে অংশ নেবে।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি সেনাবাহিনী ভোটের ১০ দিন আগে কিংবা দু’দিন আগে মোতায়েন করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের থাকার ব্যবস্থার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। তবে সেনাবাহিনী কখন, কীভাবে মোতায়েন হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এর আগে বুধবার(১৪ নভেম্বর) ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, সংসদ নির্বাচনের তারিখ পেছানোর ব্যাপারে ইসি বিবেচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।