বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের উপযুক্ত সময় নির্ভর করছে একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির উপর। আর এটাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত নুন ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন পরিস্থিতি এবং নির্বাচন কমিশনের একতরফা তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বিশ্বসংস্থার এমন অবস্থান তোলে ধরেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুঁতেরেসে’র ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং জাতিসংঘ স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান- ক্রিস্টমাস (বড়দিন) শুরুর প্রাক্কালে আগামী ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। দেশটির প্রধান বিরােধীদলসমূহ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংলাপের কোনো সুরাহার অপেক্ষা না করে এবং বিরোধীদলগুলোর দাবি-দাওয়ার কোনটাই গ্রহণ না করে বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলনেতা বেগম খালেদা জিয়া এখনো জেলে আটক। বিরোধীদল এবং সুশীল সমাজ ইতিমধ্যে এরকম একতরফা তফসিল ঘোষণার বিরোধীতা করেছে। কোনো প্রকার তফসিল ঘোষণা করার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার এ বিষয়টিতে জাতিসংঘের অবস্থান কি? জাতিসংঘ মহাসচিব কি এ নিয়ে অবগত রয়েছেন? কারণ সংস্থাটি সবসময়ই একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগাদা দিয়ে আসছে।
জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “আমরা দেশটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত রয়েছি এবং সার্বিক বিষয় অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ হয়। সে বিষয়টিতে নজর রাখছি।”
জাতিসংঘ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি মূল্যায়ন করবে উল্লেখ করে বিশ্বসংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, “নির্বাচনের অগ্রাধিকারভিত্তিক শর্তগুলো কার্যকর হচ্ছে কিনা আমরা তা দেখবো। এই মূলবিষয়গুলো নিশ্চিত করার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের উপযুক্ত সময় কখন হওয়া উচিত।”