কোটি মানুষের স্বপ্নের নায়িকা তিনি। খামোশি, দিল সে, বোম্বে, আচানক, একেলা হাম একেলা তুম, ১৯৪২: অ্যা লাভ স্টোরি’র মতো সব সিনেমার মাধ্যমে যিনি উপমহাদেশের দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন তিনি মনীষা কৈরালা।
বিশ্বের অন্যতম সাহিত্য উৎসব ঢাকা আন্তর্জাতিক লিট ফেস্ট-এর অতিথি হয়ে মনীষা এখন আছেন ঢাকায়। আজ শুক্রবার (৯ নভেম্বর) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘ব্রেকিং ব্যাড’ শীর্ষক অধিবেশনে সাদাফ সায্-এর সঞ্চালনায় বলিউড অভিনেত্রী ও নির্মাতা নন্দিতা দাসের সাথে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অধিবেশন শেষে দর্শকের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন মনীষা।
হ্যাশ ট্যাগ মি টু ভারতে যেমন তোলপাড় করছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা না বলে এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মনীষা কৈরালা বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমি বিশ্বাসী। কিন্তু আমি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালে বিশ্বাসী না। দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসায় আমি বিশ্বাসী।’
মনীষা আরও বলেন, ‘অবিচার আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। সেটা যেখানেই হোক। একজন নারী হিসেবে আমি নিজেকে একজন সার্ভাইভার মনে করি। নারীদের শক্ত হতে শিখতে হবে। আমি একজন যোদ্ধা।’
চলচ্চিত্রে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মনীষা বলেন, ৯০-এর দশকে একই ধরনের ছবি নির্মাণের প্রবণতা বেশি ছিল। আমি তখন গণ্ডির বাইরে যেতে চাইতাম। নিজের মতো করে অভিনয় করার মধ্যেও এক ধরনের প্রশান্তি কাজ করে। শিল্পীদের সব সময় অন্যের জীবন এক্সপ্লোর করতে হয়। আমাকে মানুষের কাছ থেকে সব সময় বিরূপ মন্তব্য শুনতে হতো। কে এই মেয়ে, কোত্থেকে আসছে এরকম। আমার মনে হয়েছিল যে আমার চ্যালেঞ্জগুলো নিতে হবে। অন্যের প্রেক্ষাপট নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ’। আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আমি কতগুলো গুণী নির্মাতাকে আমার আশপাশে পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে সুযোগগুলোর উৎস হওয়ায় আমার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়েছে।
মনীষা তাঁর কাজ সম্পর্কে বলেন, আমি আমার প্রতিটি কাজই ভালোবাসি। আমি গল্প দেখতে পছন্দ করি। আর সেভাবেই চলচ্চিত্রগুলো নির্বাচন করি।
মরণঘাতী ক্যানসার জয়ী মনীষা কৈরালা বলেন, তিনি মনে করেন না যে এটা তাঁর পুনর্জন্ম। তবে এটা ঠিক, (ক্যান্সার থেকে ফিরে আসার জন্য) স্পিরিট থাকাটা খুব জরুরি ছিল।