সুযোগ ছিল রঙ্গনা হেরাথের। আর মাত্র ২ উইকেট পেলেই টপকে যেতে পারতেন কপিল দেবকে। গলের তৃতীয় বা চতুর্থ দিনের উইকেটে হেরাথের পক্ষে এটা কঠিন কিছু নয়। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের হাতে যখন ৪ উইকেট আছেই। কিন্তু বেরসিক ইংল্যান্ড দুই দিন হাতে রেখেই ইনিংস ঘোষণা করে দিল। ৬ উইকেটে ৩২২ রান তুলে থামল ইংল্যান্ড, বোলার হেরাথের টেস্ট ক্যারিয়ারও থামল ৪৩৩ উইকেটে। সিরিজের প্রথম সিরিজে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাও পেল ৪৬২ রানের লক্ষ্য।
স্বাগতিক দলের জন্য স্বস্তির খবর হলো, দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারতেœ ও কৌশল সিলভাই নিজ নিজ উইকেট অক্ষুণ্ন রেখে দিন শেষ করে এসেছেন। বিনা উইকেটে ১৫ রানে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। হেরাথকে বিদায়ী উপহার দিতে চাইলে আগামী দুই দিনে আরও ৪৪৭ রান নিতে হবে। তাহলে যে রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড হবে, সেটা বোধ হয় মনে করিয়ে দিলেও চলত!
এর আগে কিটন জেনিংসের ক্যারিয়ার সেরা ১৪৬ রানে ইনিংসের শুরুতে বিপাকে পড়া ইংল্যান্ড দল আরও একবার তিন শ পেরিয়েছে। ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বার্নস (২৩) ফিরে যাওয়ার পরই ছোট খাট মড়ক নামে ইংলিশ ইনিংসে। ৩ রান করে ফিরেছেন মঈন আলী ও জো রুট। ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে বিপদমুক্ত করেন বেন স্টোকস ও জেনিংস। ১০৭ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। ৪ ছক্কা ও ৩ ছক্কায় ৯৩ বলে ৬২ রান তুলে বড় এক ইনিংসের আশা দেখাচ্ছিলেন স্টোকস। কিন্তু দিলরুয়ান পেরেরার অসাধারণ এক বল ইনিংসটাকে থামিয়ে দিয়েছে মাঝপথে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে অফ স্টাম্প হারান স্টোকস।
জেনিংস হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে জস বাটলার ও ফোকসের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে দলকে তিন শ পার করিয়েছেন। তাতেই হয়েছে নতুন এক রেকর্ড। শ্রীলঙ্কার মাটিতে এর আগে কোনো একটি নির্দিষ্ট টেস্টের দুই ইনিংসেই ৩০০ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। গলে প্রথম কোনো টেস্ট জেতার রেকর্ড গড়াটাও হয়তো হয়ে যাবে এবার।