জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, আমরা চাই ৮ নভেম্বরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হোক। অযথা সংলাপের অজুহাতে তফসিলের তারিখ পেছানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
অবশ্য বৈঠকে ৮ তারিখেই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সিইসি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে ছিল- মনোনয়ন সহজ করা, কালো টাকা ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা, প্রচার প্রচারণার সময় সংঘাত এড়ানো, নির্বাচনের সময় মোটরসাইকেল ও গাড়ি ব্যবজার সীমিত করা, প্রচারণার জন্য একক পোস্টারের ব্যবস্থা করা, সেনা বাহিনীবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা, ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরো পরীক্ষ নিরিক্ষা করা।
রুহুল আমিন বলেন, আমরা বলেছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সবাই স্বাধীনভাবে নির্বাচন করবেন এবং সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করতে হবে। আমরা আমাদের এসব দাবিগুলো তুলে ধরেছি এবং তারা আমাদের অনেকগুলো দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে দলের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এম এ সাত্তার, জিয়া উদ্দিন আহসেদ বাবলু, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাজেদুর রহমান টেপা, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, আব্দুস সবুর আসুদ, মশিউর রহমান রাঙা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জাতীয় ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএ এর চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি।
এর আগে সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, মঙ্গলবার যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। এছাড়া আজ বিকেল চারটায় ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসবে কমিশন।