স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মচর্চাকে নিশ্চিত করার রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার মতবাদের নীতিকে লালন করে দেশে উন্নয়নের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, জনগণ শান্তির এই রাজনীতিকে বার বার সরকারে দেখতে চায়। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কোন দল আর নির্বাচনে জিততে পারবে না। জনগণের হাতেই তাদের বিনাশ হবে।
মোহাম্মদ নাসিম আজ সন্ধ্যায় ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দসহ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশে অসাম্প্রদায়িক শক্তির বেশ ধরে কয়েকটি দল রাজনীতি করলেও সময়মতো তাদের আসল চেহারা জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য অশুভ শক্তি। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিই তাদের মূল শক্তি। আগামী নির্বাচনে এই অশুভ শক্তিকে আবারো পরাজিত করে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকেই ভোট দিবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তাঁর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে বাস্তব রূপ পেয়েছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব বর্তমানে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে মর্যাদা দিচ্ছে। এই মর্যাদা বাংলাদেশ তখনই অর্জন করে যখনই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, এই মর্যাদা ভূলুন্ঠিত করে দেশে আবার অশান্তি ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অপশক্তির এই অপচেষ্টা দেশে সফল হবে না। জনগণ এখন অনেক সচেতন এটা যেন চক্রান্তকারীরা মনে রাখে।
পরিষদের সভাপতি শৈলেন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ও ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবুল, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ বক্তৃতা করেন।