প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ এবং দু’টি পবিত্র মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে চারদিনের সফরে আজ সন্ধ্যায় রিয়াদ পৌঁছেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশি, রিয়াদের গভর্নর ফয়সাল বিন বন্দর আল সউদ এবং দূতাবাস কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল তাঁর স্যুটে কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার (সিএসসি) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা সৌদি রাজ প্রাসাদে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পরে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি যুবরাজ ও উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পরে তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সন্ধায় বিমানযোগে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ত্যাগ করবেন এবং মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মোহম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা পৌঁছাবেন এবং সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
শেখ হাসিনা এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এগুলো হলো- প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং আইসিটি খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি বাদশাহর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিষয়গুলো ছাড়াও শ্রমিক কল্যাণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য ও সমৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।