জমি ইজারার নতুন নীতিমালা করল জাতিসংঘ

জমি ইজারার নতুন নীতিমালা করল জাতিসংঘ

উন্নয়নশীল দেশে জমি কেনা বা ইজারা নেওয়ার ব্যাপারে ধনী দেশগুলোর জন্য নীতিমালা করেছে জাতিসংঘ। এই আইনের সদ্ব্যবহার দারিদ্রপীড়িত জনগণের অধিকার রক্ষায় সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বের সব জায়গায় এ আইনের যথাযথ প্রয়োগ হবে কি না তা নিয়ে বিশ্লষকদের মধ্যে সংশয় আছে।

বিগত দশকে সারা বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি হেক্টর জমি কেনা হয়েছে অথবা ইজারা নেওয়া হয়েছে। লেনদেনকৃত এই জমির পরিমাণ পুরো ব্রিটেনের আট গুণ। আর জমি ইজারা নেওয়া হয়েছে সবচে বেশি এশিয়া এবং আফ্রিকায়।

ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো, সিয়েরালিওনের মতো আফ্রিকার দেশগুলোর হাজার হাজার হেক্টর জমি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে চলে গেছে।

আশা করা হচ্ছে, নতুন এই নীতিমালার ফলে ওই সব এলাকায় বসবাসকারীরা সেখানকার জমি, মৎস্য সম্পদ ও বনজ সম্পদ ব্যবহারের অধিকার পাবে। কারণ এ নীতিমালায় জমি লেনদেনের ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি সেখানকার জনগোষ্ঠীর মতামত ও নারী অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এছাড়া, এ নীতিমালা মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর দায়িত্বশীলতার ওপরেও সমান গুরুত্ব দিয়েছে।

আফ্রিকার দেশগুলোর জমির মালিকদের বেশিরভাগেরই যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে তাদের জমি সরকার অধিগ্রহণ করে। সে ক্ষেত্রে তারা বঞ্চিত হয়।

অক্সফাম কর্মকর্তা ক্লারা জামার্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি বলেছে, ‘নতুন এ নীতিমালা আসলে একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। এটি প্রয়োগে সরকারের কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই।’

বিশ্বব্যাপী জমি দখলের ঘটনায় উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের মুনাফার পরিবর্তে বহু লোকের কর্মসংস্থানের কথা বললেও বাস্তবতা অনেকটাই আলাদা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন ব্যবসার জন্য অধিকৃত জমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যায় সেখানে বহুকাল ধরে বসবাসরত মানুষ। আর এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ।

আন্তর্জাতিক