প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এক্ষেত্রে তিনি মানসিক রোগবিশেষজ্ঞদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে ঢাকায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক রোগ চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সংখ্যা অপ্রতুল হলেও দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবায় তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদকাসক্তি, ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং মানসিক চাপ পরিহার করে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ সুস্থ শরীরে সুস্থ মন নিয়ে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন, এ আমার ঐকান্তিক প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৮’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, “এবারের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।