বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের মেধাবীদের অংশগ্রহণে দুদিনব্যাপী ‘এবিসি কনভেনশন’ অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্ক সিটির বিশ্বখ্যাত ‘এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর’ মিলনায়তনে।
আসছে জুন মাসের ২৩ ও ২৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট বাঙালিরা এতে অংশ নেবেন। বাংলাদেশ থেকেও বেশ কয়েকজন এতে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, এটি হচ্ছে তৃতীয় এবিসি কনভেনশন (আমেরিকা-বাংলাদেশ কানাডা কনভেনশন)। এ সম্মেলনে সমসাময়িক ১১টি বিষয়ভিত্তিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবাসে ভিন্ন পরিবেশে বড় হওয়া প্রজন্মের সঙ্গে মা-বাবা-অভিভাবকের নানা বিষয়ে মতপার্থক্য কেন ঘটছে সে ব্যাপারে গবেষণামূলক একটি আলোচনাও হবে এ সম্মেলনে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজ মেধাগুণে বাঙালির ইমেজ মহিমান্বিত করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তিকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। এবারের সম্মেলনেও মার্কিন মূলধারার শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন অংশ নেবেন।
সম্মেলনে অতিথির মধ্যে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জিল্লুর রহমান খান, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ হুসেইন জিল্লুর রহমান, ড. আবুল বারকাত, চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’র কণ্ঠশিল্পী আপেল মাহমুদ, কলামিস্ট ও কবি ফরহাদ মজহার, ভয়েজ অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার, বিবিসি বাংলা বিভাগের প্রধান সাবির মোস্তফা, কবি ড. মুহম্মদ সামাদ প্রমুখ থাকবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া কলকাতা থেকেও প্রখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনে ‘আউটসোর্সিং: বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে অংশ নেবেন প্রবাসের আইটি বিশেষজ্ঞরা।
‘বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইস্যু’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেবেন এ সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা। এ সম্মেলনের সবচেয়ে বেশি কৌতূহলী সেমিনার হচ্ছে ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরি কি না’। এতে অংশ নেবেন দেশ ও প্রবাসের বিদগ্ধজনেরা।
এবিসি সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা ও কনভেনর সাঈদ-উর রব জানিয়েছেন, সেমিনারের পাশাপাশি থাকবে দেশ ও প্রবাসের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনা। বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও রয়েছে।
সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে স্বদেশি পণ্যের স্টল। সুদূর প্রবাসে গৃহিণীরা তাদের পছন্দের পণ্য এখান থেকে সুলভে কিনতে পারবেন।
বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত তরুণ-তরুণী ছাড়াও উচ্চ শিক্ষার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ পদে কর্মরত বাংলাদেশি প্রজন্মের বিপুল উপস্থিতি ঘটবে এ সম্মেলনে। ‘এসো দেশ গড়ি’ স্লোগানে উজ্জীবিত এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত রাখতে নিরন্তর একটি প্রয়াস চলছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের গ্রুপ পরিবেশনাও থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য এ আয়োজনের জন্যে কোনো টিকিট লাগবে না। আগে আসলে আগে আসন পাওয়া যাবে ভিত্তিতে মিলনায়তন সংরক্ষিত।