বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত হওয়ার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
টানা চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীজুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ ব্যাপকতা লাভ করার প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেন।
সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত কোনো মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ নির্দিষ্ট মামলাটি কেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর কথা বলছেন আইনমন্ত্রী?
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন আছে। আমরা যে মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি- সেটা মার্ডার কেস, রেপ কেস বা অন্যান্য যে কোন মামলা…. সেটাকে জন-গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে আমরা কিন্তু সেটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বলে একটি আদালত আছে সে আদালতে পাঠিয়ে এটা দ্রুত বিচার করতে পারি।’
বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত যাতে এ রকম অন্যায় আর না হয়।
সে ক্ষেত্রে এ রকম মামলা দ্রুত বিচারে যাওয়া স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যারা বেপরোয়া গাড়ি চালায় তাদের একটি বার্তা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।
চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে দ্রুত বিচারের উদ্যোগ নেবার কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে যখন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের শাস্তির প্রসঙ্গ আসে তখন তারা রাস্তায় সংঘবদ্ধভাবে নেমে চাপ তৈরি করে। সে বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয়া হবে?
এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যায় করলে কোনো আন্দোলনই বিচার থামাতে পারবে না।’
খবর বিবিসি বাংলা