প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বরিশালে অনিয়ম হয়েছে সেটা আমরা জানতে পেরেছি। বরিশালে ১৫টি কেন্দ্রের যে অনিয়ম তা রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি। তবে মিডিয়া কিংবা যে যাই বলুক না কেন, আমাদের কর্মকর্তাদের তথ্যই গ্রহণযোগ্য।
তিনি আজ সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল সিটি নির্বাচন শেষে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বরিশালে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সকালের দিকে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা যে তথ্য দিয়েছেন, সে তথ্য-উপাত্ত পেয়েই আমরা বরিশালে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মিডিয়া নয়, আমাদের কর্মকর্তাদের তথ্যই গ্রহণযোগ্য। বরিশালে একটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আরও ১৫টি কেন্দ্রের অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ওইসব কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ১৩৮টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখানে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্র ব্যতীত বাকি কেন্দ্রেসমূহে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে।
বরিশালে মেয়র প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তীর ওপর হামলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সকল বিশৃঙ্খলা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া আছে। ওই প্রার্থী চাইলে মামলা করতে পারেন। আমরা তাকে সেই পরামর্শ দেব।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।