সংসদে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাস

সংসদে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাস

সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাস করেছে সংসদ। এর আগে পর্যায়ক্রমে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ আরও চারবার সংশোধনীর মাধ্যমে নারী আসনের মেয়াদ ও সংখ্যা বাড়ানো হয়। চলতি সংসদের মেয়াদান্তে এই বিধান অব্যাহত রাখতে এই সংশোধনী বিল পাস করা হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে দুই দফা বিভক্তি ভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন- ২০১৮’ নামে বিলটি পাস হয়।

বিলের সংশোধনীর পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়ে ২৯৮টি এবং বিলের বিপক্ষে কোনো ‘না’ ভোট পরেনি। ফলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি পাস হয়।

এর আগে সংশোধনীগুলোর ওপর হ্যাঁ ভোট পরে ২৯৫টি। সংসদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে স্পিকার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার কারণে এবং মৃত্যুজনিত কারণে একটি আসন শূন্য থাকায় মোট ভোট পরার কথা ছিল ৩৪৮টি। কিন্তু নারী সদস্যসহ রোববার সংসদে ৫০-৫৩জন সংসদ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।

বিলের ওপর নয়জন স্বতন্ত্র ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলেও কেউ না ভোটে অংশ নেননি।

এর আগে কার্যপ্রণালী বিধির ৯৯ (ঘ) অনুযায়ী সংসদের পাঁচটি লবিতে দুই দফা বিভক্তি ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

সংসদ সদস্যরা প্রথমে একত্রে দফাওয়ারি সংশোধনীগুলোর ওপর ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটে অংশগ্রহণ করেন। পরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি পাস করার প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। যারা কন্ঠভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন তারা ‘হ্যাঁ- লবিতে’ এবং যারা ‘না’ বলেছেন তারা ‘না-লবিতে’ গিয়ে ভোট প্রদান করেন।

এর আগে বিধি মোতাবেক ২ মিনিট বেল বাজিয়ে লবিগুলোর দরজা বন্ধ করা হয়। ভোট অনুষ্ঠানের পর তা খুলে দেয়া হয়।

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন। বিলের ওপর প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বিরোধীদলীয় সদস্যরা বিলটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করলেও আইনমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন। এছাড়া ২৫ বছরের জন্য বিলটি পাস করার বিরোধিতা করেন। সংসদের ২০তম অধিবেশনে বিলটি উত্থাপিত হয়।

Featured বাংলাদেশ শীর্ষ খবর