সফররত আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রেসিডেন্ট পিটার মাউরার সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, পিটার বৈঠকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
পিটার বলেছেন, এটি একটি বিরাট মানবিক সমস্যা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে পিটার বলেছেন, তিনি মিয়ানমারের সেনা প্রধান, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুর সঙ্গে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি মিয়ানমারের সেনা প্রধানকে অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য আইসিআরসির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের মতো একটি ছোট ভূখন্ডে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ দেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইসিআরসির কাজে তার সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
আইসিআরসি প্রেসিডেন্ট বৈঠকে জানান, মিয়ানমার কর্মকর্তারা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রোহিঙ্গাদের বসবাসের সহায়তায় আইসিআরসির কর্মকা- পরিচালনায় সব প্রকার সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে।
পিটার জানান, তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১৩০টি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ধংসের চিহ্ন দেখে তিনি মর্মাহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, রাখাইনে এখনো প্রায় ২৫০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সেখানে তাদের জন্য বসবাসের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আইসিআরসির প্রেসিডেন্ট পিটার বলেন, তারা সেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাসের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি এবং তাদের নিরাপদ পুনর্বাসনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকা- সৃষ্টি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর অধিক গুরুত্ব দেন।
আইসিআরসির প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা বিষয়ে তার সংস্থার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, আইসিআরসির সকল কর্মকা- পরিচালিত হবে জাতিসংঘ ব্যবস্থায়।
পিটার মাউরার বৈঠকে আইসিআরসির আরকাইভ থেকে বঙ্গবন্ধুর দুটি ছবি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।