আওয়ামী লীগের মুখপাত্র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বললে, একদিকে কোটা বাতিলের, আরেক দিকে কোটা বহালের আন্দোলন চলছে। সরকার শুধু একপক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিবে না।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, এতদিন পরে কোটা আন্দোলনকারীরা সবর হওয়ার পেছনে রাজনীতি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে তাদের যে বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে তাতে স্পষ্ট যে ফখরুল সাহেবরা তাদের কাধে ভর করে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন আর সরকার সে ফাঁদে পা দিবে সেটা হয় না।
আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, এই পদ্ধতি বাতিল করতে হলে সরকারকে চিন্তা-ভাবনা করে বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। কোনো অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠী যাতে বৈষম্যের শিকার না হয়। যাতে সবার মতের প্রতিফলন ঘটে। শুরু থেকে সে বিষয়গুলোকে খেয়াল রেখতে হবে।
কোটা আন্দোলন নিয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি চালু হয়। সাড়ে চার দশক সময় ধরে এ পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেটা বাতিল করতে হলে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। আমরা কয়েক জন মিলে শাহবাগ আন্দোলন করলাম। কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলন করলাম। আর সাথে সাথে বাতিল করে দিলাম। সেটা তো হয় না।
কোটা আন্দোলনে বাতাস দিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলে বিএনপি মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। বিএনপি আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর করেছে। তারা কোটা আন্দোলনে বাতাস দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। বানের পানি থেকে বাঁচার জন্য খড়-কুটা ধরে আশ্রয় নেওয়ার অবস্থায় রয়েছে বিএনপি।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি গাজীপুর সিটি নির্বাচনে গোহারা হেরে। এখন কয়েক জন ছাত্রদের উপর ভর করে রাজনীতি করতে চাচ্ছে। তারা আসলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।
সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ইদ্রিস মল্লিক প্রমুখ।