রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরা। সেই বাধা পেরিয়ে শেষ ষোলতে উঠতে নাকের জল-চোখের জল এক হয়ে গেছে শিরোপা প্রত্যাশী দলগুলোর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিদায় নিতে হয়েছে সেখান থেকেই। এমন অপ্রত্যাশিত ফলাফলই মৃত্যুকূপ বানিয়ে ফেলেছে শেষ ষোল’র এক অর্ধের খেলা। সেই অর্ধের প্রথম ম্যাচে কাজানে মুখোমুখি হচ্ছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও একবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এবারের আসরের অন্যতম দুই ফেভারিটের এই লড়াই শুরু হবে রাত ৮টায়।
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স দ্বৈরথের অতীত ইতিহাস লাতিন আমেরিকার দেশটির পক্ষেই কথা বলে। এখন পর্যন্ত ১১ বারের লড়াইয়ে মেসির দল জিতেছে ৬বার, হেরেছে ২বার, ম্যাচ ড্র ৩টি। আর বিশ্বকাপে এই দ্বৈরথ আরও পয়া আর্জেন্টাইনদের জন্য। এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই আসর দুইবার দেখেছে এই দলদুটির দ্বৈরথ। দুইবারই জিতেছে আর্জেন্টিনা এবং শেষ পর্যন্ত তারা উঠেছে ফাইনালে (১৯৩০ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপ)। ১৯৭৮ সালে তারা জিতেছিল নিজেদের প্রথম শিরোপা।
তবে পূর্ব সফলতার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যে বর্তমানেও হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এবারের গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনা মন মাতানো খেলা উপহার দিতে পারেনি। শেষ ষোল নিশ্চিত করার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত এবং তাকিয়ে থাকতে হয়েছে গ্রুপের অন্য ম্যাচটির দিকেও। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী খেলোয়াড় মেসি একটি গোল করলেও সেভাবে ডানা মেলতে পারেননি।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী সোনালী প্রজন্মের পর এবারই সবচেয়ে তারকাবহুল ও সম্ভাবনাময় দল নিয়ে এসেছে ফ্রান্স। তাদের কোচ হিসেবে আছেন সেই বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক দিদিয়ের দেশম। তবে প্রায় প্রতি পজিশনেই তারকা খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও গ্রুপপর্বে খুব একটা ভাল করেনি ফরাসিরা। তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটা ঠিক। তবে দলটির খেলা মন ভরাতে পারেনি ফুটবল পিয়াসী ভক্তদের।
এদিনের ম্যাচে যারা ভালো করবে তারাই জিতবে। দেখা যাক গতবারের ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা সেদিকে এক পা বাড়াতে পারে নাকি জায়গা করে দেয় ২০ বছর পর ফরাসিদের ফাইনাল যেতে।