বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিষয়টির সমাধানের জন্য ইস্যুটি ওআইসির সম্মেলনে তুললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাদে মুসলিম দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির শরণার্থী বিষয়ক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অরগাইনাজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন এবং জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার আশগাবাদে পৌঁছেন।
মুসলিম দেশগুলো থেকে এবং প্রতিবেশী অমুসলিম দেশ থেকে শরণার্থীদের মুসলিম দেশে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা ও সমঝোতার ওপরও এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দীপু মনি তার বক্তব্যে মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার বিষয়টির আদ্যপান্ত বর্ণনা দেন। বাংলাদেশে বিষয়টির সামাজিক কুপ্রভাব সম্পর্কেও তিনি ওআইসি মন্ত্রীদের অবহিত করেন।
দীপু মনি বলেন, “বাংলাদেশ শরণার্থী বিষয়ক ১৯৫১ সালের কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের প্রটোকল অনুযায়ী এ বিষয়টিতে কোনো পক্ষই নয়।“
শরণার্থী বিষয়ক সমস্যা সমাধানে দীপু মনি ওআইসির বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংলাপ আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলো বিশেষত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর এতে আর্থিক চাপ সামলাতে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন দীপু মনি।
দু’দিনের সম্মেলনে শরণার্থীদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় ইসলামিক আইনের সঙ্গে জাতিসংঘের কয়েকটি কনভেনশনের সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হবে। ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের এ সম্পর্কিত প্রটোকল বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ এখনো অণুসমর্থন করেনি।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার এনতোনিও গুতিয়েরেস বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর প্রতি এ কনভেনশন ও প্রটোকল অনুসমর্থনের তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘এতে মুসলিম দেশগুলোতে শরণার্থীদের আশ্রয়লাভের প্রক্রিয়া সহজ ও মানবিক হবে।’
সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দীপু মনি সোমবার দেশে এসে পৌঁছাবেন বলে সফরসূচি নির্ধারিত রয়েছে।