প্রত্যাশার চেয়েও ভালো আলোচনা হয়েছে : ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বৈঠক যে কারো প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনার পর তারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে বিরল এক বৈঠকে বসেন কিম-ট্রাম্প। বৈঠকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ক্যাপেল্লা হোটেলের গার্ডেনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ট্রাম্পের পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

তবে এর আগে উত্তর কোরিয়ার এ নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, শান্তির জন্য একটি ভালো সূচনা।

পরে এ দুই রাষ্ট্রনেতা ট্রাম্পের লিমোজিন গাড়ির দিকে এগিয়ে যান। এ সময় গাড়ির পেছনের আসনের দিকে কিম কিছু একটা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। তার পর আবারও পায়চারী শুরু করেন তারা।

তবে চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না দিলেও ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক অগ্রগতি হয়েছে- সত্যিই খুব ইতিবাচক। আমি মনে করি, যে কারো প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।’
শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, হোয়াইট হাউসের প্রধান কর্মকর্তা জন কেলি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স, ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুং কিম, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এশিয়া অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ম্যাট পটিংগার উপস্থিত ছিলেন।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং-হো, কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রি সু ইয়ং উপস্থিত ছিলেন।

বিগত দেড় বছর ধরে দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন-অবনয়ন চলছে। একজন আরেকজনকে নানা উপাধি দেয়া ছাড়া যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন। পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে তাদের মধ্যে একটা সময়ে ব্যাপক বাতচিৎ হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সে সময়ে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনকে ‘খুদে রকেট মানব’ ও ‘খাটো মোটকু’ আখ্যায়িত করেছিলেন। জবাবে কিমও ট্রাম্পকে ‘ভীত কুকুর’ ও ‘মানসিক ভারসাম্যহীন বুড়ো’ বলেছিলেন।

অবশেষে চলতি বছরের শুরুর দিকে উভয়ই আলোচনায় বসার ব্যাপারে একমত হন। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন কিম। তবে বৈঠক ঘিরে অনেক সংশয়ও ছিল। গত ২৪ মে হঠাৎ করে ট্রাম্প বৈঠক বাতিল করেন। পরে দুপক্ষের কর্মকর্তারা আলোচনা করে আবার দুই নেতাকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়েছেন।

বৈঠক ঘিরে অভূতপূর্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিঙ্গাপুর। ১০ জুন দুই নেতা দেশটিতে পৌঁছানোর পর তাদের হোটেলের দিকের প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়।

বৈঠক আয়োজন করার জন্য সিঙ্গাপুরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিম ও ট্রাম্প। আজই বৈঠক শেষে দুই নেতা সিঙ্গাপুর ছাড়বেন।

Featured আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর