এশিয়া কাপে তীরের কাছে গিয়েও কূলের দেখা পায়নি ছেলেরা। প্রথমবারই ফাইনালে গিয়ে অবিশ্বাস্য এক অর্জন করে দেখাল মেয়েরা। অসাধারণ এক জয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৩ উইকেটে।
বাংলাদেশের মেয়েরা এ প্রথমবার কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেই চুমু খেলেন শিরোপায়।
ভারতকে ১১২ রানে আটকে দেওয়ার পর কোনো উইকেট না হারিয়েই বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ফেলেছিল ৩৩ রান। তবে ভালো সূচনার পর দ্রুতই দুটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মুখে পড়েছেন সালমারা।
১১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৬ ওভার দারুণ খেলেছিলেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। উদ্বোধনী জুটিতে জমা করেছিলেন ৩৫ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারের শেষ দুই বলে দুজনেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। কয়েক ওভার পর ফারজানা হকও ফিরে যান ১১ রান করে। কিছুটা চাপের মুখে পড়লেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন নিগার সুলতানা। ২৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে অনেকখানি দিয়েছিলেন জয়ের পথে। শেষ ওভারে রুমানা আহমেদ ফিরেছিলেন রানআউটের ফাঁদে পড়ে। শেষ বলে দুই রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন জাহানারা আলম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতের পক্ষে প্রায় একাই লড়েছেন অধিনায়ক হারমানপ্রিত কাউর। তার ৪২ বলে ৫৬ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ১১২ রান।
বাংলাদেশের মেয়েদের টি-টুয়েন্টি অভিষেক ২০১২ সালে। এশিয়া কাপের এ ফাইনালের আগে তারা খেলেছেন মোট ৪১ ম্যাচ। এ টুর্নামন্টের লিগ পর্বে টানা ৪ জয়ের আগে বলার মতো তেমন কিছুই ছিল না। মোটে তিনটি জয় ছিল খাতায়। হার ছিল ৩৩টি। কিন্তু এবার গোটা এশিয়াকে শুধু নয় ক্রিকেট বিশ্বকেই চমকে দিলেন টাইগ্রেসরা। শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর একে একে একে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াকে। আর এবার তো শাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে এশিয়ার রানি হয়ে গেলেন বাংলার বাঘিনীরা। আগের ৬ এশিয়া কাপেরই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এবার তাদের স্পম শিরোপাবঞ্চিত করে বাংলাদেশকে উৎসবে ভাসালেন সালমা রহমানের টি-টুয়েন্টি দল। প্রশ্ন নেই, এটাই বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবজনক ও ঐতিহাসিক কীর্তি।