বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জনবান্ধব এ বাজেটে দেশের সব শ্রেণী -পেশার মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ সকালে সদর উপজেলার চরসামইয়া ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে নতুন শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ২ হাজার মানুষের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাজেটে যেভাবে করের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা যুগান্তকারী। দেশের দারিদ্রের হার একেবারে কমিয়ে আনতে এ বাজেট সহায়ক ভূমিকা রাখবে ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ ও রপ্তানী বৃদ্ধি পাবে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎ খাত ও পল্লী এলাকার উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বাজেটের মাধ্যমে গ্রামগুলো শহরে রুপান্তরিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, এবারের চমৎকার বাজেটের দ্বারা শুধু দারিদ্র বিমোচন নয়, সপ্তম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির শাসনামলে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিলো ৪৬ ভাগ। বর্তমান সরকারের সময়ে সেটা ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। সামাজিক সুরক্ষার জন্য অনেক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রবীন এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা থেকে যায় তখন দেশে ৩ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ ছিলো। বর্তমান সরকার সেটা বৃদ্ধি করে ২০ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন হয়েছে বলেই দেশে আজ এতো উন্নয়ন হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে শেখ হাসিনার সরকার আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব পাবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী ভেলুমিয়া ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নে অসহায়দের মধ্যে ৪ হাজার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন। পরে আলীনগর, উত্তর দিঘলদী ও শীবপুর ইউনিয়নে আরো ৬ হাজার ঈদবস্ত্র বিতরণ করেন মন্ত্রী। বাসস।