‘যুদ্ধাপরাধীরা কোনো রাজনৈতিক দলে থাকলে তাদের বহিস্কার করা উচিৎ। সেই সঙ্গে তাদের বিচারের আওতায়ও আনতে হবে। না হলে ওই দলকে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে অভিযুক্ত করা হবে, তা যে দলই হোক।’
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে একুশে সাংস্কৃতিক পরিষদ ও বাংলাদেশ স্বপ্নকুঁড়ি পরিষদ আয়োজিত স্বাধীনতার ৪১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ত্বরান্বিত হোক’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত হোক’ এ দাবি বাঙালির প্রাণের দাবি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা এ দেশের মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাত ভাইদের হত্যাযজ্ঞসহ নানা অপকর্ম ঘটিয়েছে, তাদের কখনো ক্ষমা করবে না বাঙালি জাতি। যতোদিন না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, ততোদিন বাঙালি জাতির ইতিহাস থেকে কালিমা মুছবে না।
একুশে সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব বাঙালি পরিষদের সভাপতি কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, ফেনী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ইসমাঈল হোসেন খোকন, কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, সংগীত শিল্পী জহির উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. আনতাব হোসেন প্রমুখ।
বিশ্ব বাঙালি পরিষদের সভাপতি কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক বলেন, স্বতন্ত্র ঐতিহ্যের জন্মদানকারী বাঙালিদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, চেতনা ও সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। এ কাজের জন্য তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
অতীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে দাবি করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সময় বেশ কয়েকজনের সাজাও হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেন।
সেমিনারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০ জনকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।