ঈদেকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের আরামের কথা চিন্তা করে প্রতিবছরের মতো এবারও লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চ মালিক সমিতি।
ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ সামলাতে আগামী ১৩ জুন থেকে শুরু হবে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস। অপরদিকে লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ জুন।
যাপ (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহণ সংস্থা) এর সদস্য সচিব সিদ্দিকুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, সিডিউল ঠিক না হওয়ার কারনে কেবিনের আগ্রিম টিকিট নিয়ে জটিলতা হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সাধারণ কেবিনের টিকিট বিক্রি শুরু হলেও এখনও শুরু হয়নি ভিআইপি কেবিনের বুকিং। লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য সদরঘাটে স্থাপিত টিকিট কাউন্টারে ঈদের সাত দিন আগে থেকে টিকিট থাকবে। অর্থাৎ ৯ জুন থেকে সদরঘাটে স্থাপিত এ সব টিকিট কাউন্টার খোলা হবে।
বিআইডব্লিউটএ এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ সামালাতে এ বছরই প্রথম নতুন টারমিনাল ভবনের লঞ্চের কাউন্টারগুলোতে ডেকের যাত্রীদের টিকিট বিক্রি শুরু করা হচ্ছে। এ ছাড়াও টারমিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও লঞ্চ ওভারলোড না কারার বিষয়েও মালিকরা আমাদের আস্বস্ত করেছেন।
বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, তথ্য সার্ভিস, হকার মুক্ত, যানযট মুক্তসহ সেবার মান উন্নয়নে সব ধরনের ইউটিলিটি সার্ভিস সুবিধা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার এবং ঢাকায় আসার ব্যবস্থা করা হবে।
লঞ্চের ভাড়ার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, আসন ব্যবস্থাপনা অনুসারে ছোট-বড় লঞ্চসমূহে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় আকারের লঞ্চগুলোতে ডুপ্লেক্স ও ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ৩০০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা হয়ে থাকে। যেখানে দুটো বেড, এসি, রেফ্রিজারেটর, টিভি, ডাইনিং সুবিধা রয়েছে।
দুই বেড সুবিধায় ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা, এক বেডের সুবিধায় সিঙ্গেল কেবিন ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, সোফা-কাম-বেডের ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে। এখানেও এসি কিংবা ফ্যান ও টিভির সুবিধা রয়েছে।
এ ছাড়া লঞ্চের ডেকে যাত্রা করার ক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। অনেক বড় লঞ্চে কার্পেট দেওয়া রয়েছে। তবে চাদর বালিশ যাত্রীকে সঙ্গে বহন করতে হয়।