পিপিপি’র মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পিপিপি’র মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব)-এর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘পিপিপির মাধ্যমে গৃহীত প্রকল্পসমূহ যদি জনগণ, বেসরকারি বিনিয়োগকারী এবং সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের নিকট রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয় তবেই পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের অন্তরে বিশ্বাস ও আস্থার সৃষ্টি হবে।’

আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরস এর ২য় সভার সভাপতিত্বকালে শেখ হাসিনা একথা বলেন।

সভায় বিভিন্ন পিপিপি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবগণ, মুখ্যসচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বোর্ড অব গভর্নরস এর এ সভায় পিপিপি কর্তৃপক্ষের ৪৮টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এ ৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এতে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় ১২.৬ বিলিয়ন ডলার। পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে মোট ১০ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি অংশীদারদের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আরও ২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শিগগিরই বেসরকারি অংশিদারদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

সভায় জিটুজি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দ্বি-পাক্ষিক অংশীদারিত্বের উন্নয়ন এবং এ সকল দেশসমূহের সঙ্গে বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণের জন্য ২০১৭ সালের জুন মাসে জিটুজি পলিসি গেজেটে প্রকাশিত হয়। জিটুজি পদ্ধতিতে পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া, এ পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নে উন্নত কারিগরি জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো এবং এতদ সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন ধারার সন্নিবেশ ঘটবে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০১৭ সালের জুন মাসে জাপানের সঙ্গে এবং ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সিংগাপুরের সঙ্গে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। জিটুজি পদ্ধতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের আগ্রহের বিষয়টি সভায় প্রাধান্য পায়। এ ছাড়া সিংগাপুর আবাসন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন, নৌ-বন্দর উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে আগ্রহের বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী সভায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি ভিত্তিক পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি আরও এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

অগ্রাধিকারমূলকভাবে পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প নীতিমালা ২০১৮ সালের মে মাসে জারী করা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় সরকার ইতোমধ্যে পায়রা বন্দর ড্রেজিং প্রকল্পকে জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপর হতে আর্থিক চাপ হ্রাস করবে। আর এ জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির শতকরা ৩০ ভাগ প্রকল্প পিপিপি পদ্ধতি অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। বাসস।

Featured বাংলাদেশ শীর্ষ খবর