শেষ ভরসা ছিলো চট্টগ্রাম, সেখানেও পরাজয় জুটেছে। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হারায় ধবলধোলাইও। ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিলো কোন ভাবেই খেলায় পাওয়া গেলো না বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। সেই টি-টোয়েন্টি থেকে চিন্তা করলে কোন পরিবর্তন নেই।
আসলে বাংলাদেশ দলতো খেলার আগেই হেরে বসে থাকে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সংবাদ সম্মেলনে আরেঠারে সে কথাই বোঝাতে চেষ্টা করলেন,“পুরো সিরিজে বোলাররা খুবই ভালো করেছে। আমরা ব্যাটসম্যানরা পারিনি। স্কিলের চেয়েও আমরা মানসিক ভাবে পিছিয়ে আছি। মনের দিক থেকে আমাদেরকে আরেকটু ভালো হতে হবে।”
১৭৭ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর দর্শক বা আমজনতা জয়ের স্বপ্ন দেখেনি। ক্রিকেটারদের মধ্যেও আশা ছিলো। কিন্তু অন্ধকারের কালো চাদর ১০ মিনিট জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অবস্থান করে বাংলাদেশের সব সম্ভাবনাকে প্রাননাশ করে দিয়ে গেছে। আলো ফিরেছে পাকিস্তানের জয়ের বার্তা নিয়ে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ওই ব্ল্যাক আউটকে খুব বড় করে দেখেন না ঠিক। কিন্তু মনের ভেতরে এখনো যে যন্ত্রণা হয়ে বাজছে অন্ধকার মুহূর্তটুকু,“আবির (শাহরিয়ার নাফিস) ভাই এবং রিয়াদ ভাই ভালোই খেলছিলেন। বিদ্যুৎ না গেলে হয়তো অন্যরকম হতে পারতো। আমাদের সমস্যা হলো একবার যদি ছন্দপতন হয়, তাহলে ফিরতে পারি না। ওপরে দ্রুত উইকেট পড়েছে। ওটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো।”
টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের শেষ সম্বল টেস্ট ক্রিকেট। শুক্রবার থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই হবে টেস্ট ম্যাচ। মুশফিকুর রহিম এখন পাখির চোখ করছেন টেস্ট সিরিজ নিয়ে,“টেস্টের প্রতিটি দিন আলাদা। তিনটি সেশন থাকে। আমরা চেষ্টা করবো গুছিয়ে উঠতে। ভালো খেলতে হলে আমাদেরকে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। অনুশীলনে আমরা অনেক পরিশ্রম করছি। কিন্তু মাঠে গিয়ে তার প্রয়োগ করতে না পারলে কোন মূল্য নেই।”
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পাকিস্তানের লাভ হয়েছে বলে জানান তাদের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক,“অনেক লাভ হয়েছে। তাদেরকে নতুন করে সেট হতে হয়। আমরাও গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছি। পরে চেষ্টা করেছি ডট বল দেওয়ার। তারা চাপে থেকে খেলতে পারেনি।”
সিরিজে বাংলাদেশের পারফরমেন্স নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হলে পাক অধিনায়ক বলেন,“বোলিংয়ে খুব ভালো। কিন্তু ব্যাটিং আশানুরূপ নয়। ব্যাটিংয়ে তাদেরকে অনেক উন্নতি করতে হবে।”