সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার শামীমের নামাজে জানাজায় শোক বক্তব্য দিতে গিয়ে সরকারে প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন করার দাবি জানিয়েছেন দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অতীতে অনেক প্রখ্যাত রাজনীতিবীদের অকাল মৃত্যু ঘটিয়েছে। সিলেটবাসীর আজীবনের দাবি হিসেবে এই মহসড়ক চার লেন করুন।’
তিনি বলেন, ‘কেবল শোকই নয়, যাতে রাস্তাঘাট সড়ক নিরাপদ হয়। সিলেটবাসীর আজীবনের লালিত দাবি, ঢাক-সিলেট মহাসড়ক চার লেন চাই।’
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত সহকারীর ‘অর্থ কেলেঙ্কারির’ দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ১৬ এপ্রিল রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। রেলভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘অব্যাহতি’ নেওয়ার এ ঘোষণা দেন মাত্র পাঁচ মাস আগে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া সুরঞ্জিত। সরকার তাকে পরদিন থেকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করেছে। এরপর থেকে আর জনসমক্ষে আসেননি তিনি। রাজধানীর ঝিকাতলার বাসায়ই সময় কাটিয়ে আসছিলেন দীর্ঘ ৫০ বছরের প্রাজ্ঞ-প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার শামীমের নামাজে জানাজায় এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বক্তব্যে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ইফতেখার শামীম দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। তাকে হাজার চেষ্টা করলেও আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার বক্তব্যে আরো বলেন, দীর্ঘ ৩ দশক ধরে এদেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতিতে অবদান রেখেছেন ইফতেখার শামীম। মহান স্বাধীনতার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি অগ্রণী সেনানীর ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, সিলেট আওয়ামী লীগ ও ইফতেখার শামীম এক ও অনন্য। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল শোকই প্রকাশ করেননি, তার মৃত্যুতে তার প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তিনি শুক্রবার নিহত ইফতেখার শামীম ছাড়াও নিহত আরো ৭ জনের প্রতিও শোক প্রকাশ ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।