নারীদের গহনা তৈরির অপরিহার্য একটি উপাদান স্বর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানেও রয়েছে স্বর্ণের প্রয়োজনীয়তা। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এই মূল্যবান উপাদানটির দাম বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। ফলে স্বর্ণের বর্তমান বাজারে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
এক হিসাবে দেখা গেছে, গত ৪০ বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৩২ গুণ। তবে স্বর্ণের এ দর বৃদ্ধির পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বৃদ্ধিকেই কারণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৭১ সালে দেশে প্রতি ভরি গিনি সোনার দাম ছিল ১৭০ টাকা। ধারাবাহিকভাবে তা বেড়ে ২২ ক্যাডমিয়াম প্রতি ভরি স্বর্ণে দাম দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৪৫৩ টাকায়। সে হিসাবে গত ৪০ বছরে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৩২ গুণের বেশি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৭০ সালে প্রতি ভরি গিনি স্বর্ণের দাম ছিল ১৫০ টাকা। দশ বছরের ব্যবধানে ১৯৮০ সালে দাম হয় ৩ হাজার ৫০ টাকা। যেখানে বৃদ্ধির হার ২১৩ শতাংশ। এর পরবর্তী ১০ বছরে আরও দুইগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ২০০০ সালে ২২ ক্যাডমিয়াম প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ৬ হাজার ৮০০ টাকা। সে হিসেবে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল এ একদশকে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায় মাত্র ৪০০ টাকা। বলা চলে এ সময়ে স্বর্ণের মূল্য অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল।
আর ২০১০ সালে ২২ ক্যাডমিয়ামের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ৩৬ হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ ২০০০ সালের পরবর্তী ১০ বছরে আরেক দফা লাফ দেয় স্বর্ণের দাম। ভরিপ্রতি দর বাড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। যার হার প্রায় ছয়গুণ।
২০১১ সালে এর দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৪৫৫ টাকা। আর্থাৎ এক বছর ব্যবধানে মূল্য বৃদ্ধি পায় ১৩ হাজার ৩৫৫ টাকা। আর সর্বশেষ চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বেড়েছে আরও ৭ হাজার টাকা।
স্বর্ণ বেচা-কেনা সম্পর্কে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক ড. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজুসের সদস্য এমন স্বর্ণের দোকানের সংখ্যা এক লাখ। এসব দোকানে গড়ে একভরি করে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।