মৌসুমী সবজি আসতে শুরু করলেও কমছে না দাম

মৌসুমী সবজি আসতে শুরু করলেও কমছে না দাম

বাজারে মৌসুমী শাকসবজি আসতে শুরু করলেও কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজিরই দাম কমছে না। বরং মধ্যে গত এক সপ্তাহে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। যে ২/১টি সবজির দাম কমেছে সেগুলোর দাম এখনো দাম সহনীয় মাত্রায় আসে নি।

এদিকে ডালের দাম বেড়েছে আরেক ধাপ। মাছ, মাংস, ডিম ও সয়াবিন তেলের দাম না কমায় ক্রেতাদের ভোগান্তি রয়েছেই। তবে বাজারে নতুন চাল আসায় গত পনের দিন ধরে চালের দাম কিছুটা কম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মিরপুর ১৩ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁপের দাম ৪০ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙার দাম ৪০ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর দাম কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়ে ৩২-৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বেশির ভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের দাম অপরিবর্তিত থেকে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। একই ভাবে চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শশা ২৫-৩০ টাকা, ধন্ধুল ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, লতি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য দুই একটি সবজির দাম ২-৬ টাকা করে কমেছে। প্রতি কেজি ঢেঁড়সের দাম ৩৬ টাকা থেকে ৬ টাকা কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৫ টাকা কমে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাজারে মৌসুমী সবজি আসতে শুরু করেছে সত্যি। কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম না কমলে আমরা কিভাবে কম দামে বিক্রি করবো। গত দুই তিন দিনে হঠাৎ করে কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে।

এদিকে নতুন চাল বাজার আসার সুবাধে গত ১৫ দিনে চাল দাম কমেছে কিছুটা। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। নাজির শাইল চালের দাম ৪৭-৫৬ টাকা থেকে কেজিতে ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহে ২৮ চালের দাম কেজিতে ১ টাকা কমে ৩৫-৩৬ টাকায়, পায়জাম ৩২-৩৩ টাকা, মোটা চাল ১ টাকা কমে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৫৫-৫৬ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৩৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। মশারী ডালের দাম ১১০ টাকা থেকে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে ১১৫-১২০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

১৩ নম্বর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী রিয়াজ বলেন, সময় খারাপ যাচ্ছে। যার কাছে যা রাখতে পারছে সে অনুযায়ী বিক্রি করছে সবাই। এজন্য কেউ কেউ ডাল আগের দামে আবার কেউ ১১৫-১২০ কেজি দরে ডাল বিক্রি করছে। এর মধ্যে পাইকাররা বাজারে ডালের সংকট দেখাচ্ছে আমাদের কাছে।

মাছ, মাংস, ডিম, সয়াবিনের দাম না কমায় ক্রেতাদের দূভোর্গ চরমে পৌঁছেছে। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে বড় আকারের কাতল মাছের কেজি ৭০০-৮০০ টাকা, মাঝারী ও ছোট আকারের কাতল মাছের কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা, বড় আইড় মাছের কেজি ৭০০-৮০০ টাকা, বড় বোয়ালের কেজি ৬০০-৭০০ টাকা, মাঝারী দেশি রুই মাছের কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারী আকারের বার্মার রুই মাছের কেজি ২০০-২৫০ টাকা, নলা রুই মাছের কেজি ১৬০-১৮০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০-১০০০ টাকা,  চিংড়ী মাছ ৮৫০-১০৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, কই মাছের কেজি ২২০-৩০০ টাকা, শিং ৬০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ক্রেতারা।

বাজারে ডিমের হালি ৩৪-৪০ টাকা গরুর মাংস ২৬০ টাকা, খাসির মাংস ৪৫০ টাকা ছাগলের মাংস ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা নজীম উদ্দিন বলেন, ‘রিস্কা চালিয়ে যে টাকা পাওয়া যায় তাতে সংসার চালানো খুব কষ্টকর। ঘর ভাড়া দিয়া এত দামে জিনিস পত্র কিনে জীবন চালানো খুব কঠিন হইয়া গেছে। দাম না কমলে আমরা ক্যামনে চলমু।

অর্থ বাণিজ্য