তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের গ্রেফতারের আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন।
সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো: আনিসুজ্জামান চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দ্রত বিচার আইনের ৪ ও ৫ধারায় দেওয়া এ চার্জশিটে ১৮জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এছাড়া আব্দুল জব্বার নামের এক আসামির সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আবেদন করা হয়েছে। খোকন গত ৩ মে উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় জামিন পান।
২৯ এপ্রিল রোববার হরতাল চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এলকায় গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে পুলিশের এক এসআই বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বণির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপি, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রশিবির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, এসএম জাহাঙ্গীর, ওবায়দুল হক নাসির, মজনু, ইয়াসিন আলী, আব্দুল মতিন, হাবিবুর রহমান হাবিব, কামাল আনোয়ার, আবুল বাশার, আনোয়ার হোসেন, এস রহমান, নবী সোলায়মান, ইউনুস মৃধা, বুলবুল, সোহেল মিয়া, জসিম ও মো. মানিক রতনকে আসামি করা হয়।