ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বিজেপি। বিজেপিবিরোধী একটা ঐক্য তাই গড়ে উঠছে দ্রুতই, উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে একজোট হয়ে যা দেখিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি।
আবার ওই ঐক্য চেষ্টা ভাঙতে মাঠে নেমেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা; যার নেতৃত্বে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ।
জাতীয় পর্যায়ে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল। এ রাজ্যে তাই তৎপর হচ্ছে তৃণমূল-বিরোধীরা। তৃণমূলকে রুখতে পঞ্চায়েত ভোটে একজোট হওয়ার আহ্বান নিয়ে বিরোধীদের কাছে যাচ্ছে বিজেপি। আর তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে বামফ্রন্ট।
এ অবস্থায় পঞ্চায়েতের জন্য নির্দেশিকা জারি করে বিজেপি সম্পর্কে সতর্কবার্তা জারি করেছে বামফ্রন্ট। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি ও আরও নানাভাবে বিজেপি শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। বিষয়টি খুবই সতর্কতার দাবি রাখে। কোনো ক্রমেই তৃণমূলকে পরাজিত করার জন্য বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করা যাবে না।’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলছেন, ‘আমরা বারবার বলছি, তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে বা বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলকে হারানোর ভাবনা আত্মঘাতী। কোনো প্রলোভনেই বিজেপির দিকে যাওয়া যাবে না। বাংলায় পঞ্চায়েতের জন্য বামফ্রন্ট যে কাজ করেছিল, তা মাথায় রেখে নির্বাচনে নিজেদের লড়াই লড়তে হবে।’
যুদ্ধ ঘোষণা রাহুলের ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ দুই নেতা নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে সরাসরি নিশানা করা ও সেই সঙ্গে আরএসএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলছেন, নরেন্দ্র মোদি মানেই দুর্নীতি, মিথ্যাচার। আর অমিত শাহ হত্যায় অভিযুক্ত। সংগঠিত ও অর্থবলে বলীয়ান কৌরবরা যেমন ক্ষমতার জন্য লড়তেন, আরএসএস-বিজেপিও তেমন। আর বিনয়ী পাণ্ডবদের মতোই কংগ্রেস লড়বে সত্যের জন্য।
বিজেপিবিরোধী ঐক্য ঠেকাতে যে কৌশল মাথায় নিয়ে বিজেপি এগোচ্ছে তাতে রাহুলের নেতৃত্বকে বেশি গুরুত্ব দেয়া এবং তাকে আক্রমণের মূল নিশানা করে অন্য আঞ্চলিক দলগুলোকে ছোট করে দেখানোর কৌশল রয়েছে।
তবে উল্টো মোদি-অমিতকে নিশানা করছেন রাহুল। দুর্নীতি প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে গিয়ে মোদি নামের সঙ্গে মিল টেনে ললিত থেকে নীরব— সবাইকে এক সূত্রে গেঁথেছেন রাহুল; যার জবাবে বিজেপির বক্তব্য, সব মোদিকে এক আসনে বসিয়ে রাহুল প্রধানমন্ত্রীর জাত তুলে আক্রমণ করেছেন। মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘নীচ’ মন্তব্য ঘিরে খোদ প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আসরে নেমেছিলেন, এ বারেও বিজেপি সেই ভাবে নামছে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে হত্যার অভিযুক্ত বলে রাহুল বলেন, ‘কংগ্রেসে এমন সভাপতিকে কেউ মেনে নেবে না।’