হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের রাস্তার জমি ও নকশাবহির্ভূত জমি প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়া ও নেওয়ায় অভিযোগে সাবেক বিএনপি সরকারের দুই প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ও মেজর (অব.) কামরুল ইসলামসহ ছয়জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৬ মে আদালতে হাজির হয়ে এ দুজনকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
বুধবার সকালে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান এ বিষয়ে দৈনিক কালেরকণ্ঠ ও সমকালে প্রকাশিত দু’টি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- জিয়াপুত্র জয়, মেজর কামরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা ইসলাম, রাজউকের চেয়ারম্যান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী।
ইয়াদিয়া জামান বাংলানিউজকে জানান, হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের রাস্তার জমি ও নকশাবহির্ভূত জমি প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও রাস্তার জমি ও নকশাবহির্ভূত জমি প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
তিন সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও রাজউক চেয়ারম্যানকে হাতিরঝিল প্রকল্পে রাস্তার জমি ও নকশা বহির্ভূত জমি আর কাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাস্তার জমি আর কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কি না তাও রাজউক চেয়ারম্যানকে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতকে সহায়তা করার জন্য বুয়েটের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান, স্থাপত্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হাসনাত ফুয়াদ ও সমকালের সাংবাদিক আবু সাঈদ খানকে ১৬ মে আদালতে আসার আহবান জানিয়েছেন।
ইয়াদিয়া জামান আদালতে বলেন,“১৯৯৪ সালের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নকশায় হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের রাস্তা ৬০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে অবৈধভাবে রাজউক রাস্তার জমিকে প্লটে রূপান্তর করে দুই প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী ও পুত্রের নামে বরাদ্দ দেয়।“