বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমানকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার সোনালী ব্যাংকের আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন ধারার জনক বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিন তার হাতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি রুপার নৌকা তুলে দেওয়া হয়।
পার্কস্ট্রিটের টিউলিপ ইন হোটেলে আয়োজিত এই সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলা স্টেটসম্যানের সম্পাদক মানস ঘোষ, সোনালী ব্যাংকের ডিরেক্টর সুভাষ সিংহ রায়, সোনালী ব্যাংকের ভারতের অপারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এম সারোয়ার হোসেন, কলকাতার পৌর সভার মেয়র ইন কাউন্সিল ফারজানা আলম, বন্ধন মাইক্রো ফাইনান্সের ডিরেক্টর চন্দ্রশেখর ঘোষ, ভারতীয় রির্জাভ ব্যাংকের জিএম অর্নব রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এদিন বিভিন্ন বক্তারা ড. আতিউর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মানস ঘোষ বলেন, আমি শুনেছি ওনি কৃষকদের সাথে সরাসরি টেলিফোনে কথা বলেন এটা ভাবাই যায়না। ওনি বাংলাদেশ ব্যাংককে মানুষের বন্ধু করে তুলেছেন।
চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ওনার সাথে কথা বলে বোঝাই যায় না ওনি আসলে কী প্রশাসক, বিজ্ঞানী না সমাজসেবী? এটাই ওনার স্বার্থকতা। ওনার অভিজ্ঞতা আমাদের দেশকেও কাজে লাগাতে হবে।
সংবর্ধনার উত্তরে ড. আতিউর রহমান বলেন, সবাইকে শুভেচ্ছা। এরকম সংবর্ধনায় কখনো আসিনা। এই আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন ছিল না। আমি এতটা মহৎ নয়, যা বলা হলো। সবটা বিশ্বাস করবেন না।
তিনি বলেন, কাল স্মারক নেওয়ার পর আজ আমি অনুভূতি প্রকাশ করছি। এই পুরষ্কারটা সমন্ধে জানতাম। আমি ভাবলাম তারা ভুল করেছেন। আমাকে দেবে কেন? আমি অবাক হয়েছি। আমি এই পুরস্কারটি হৃদয় থেকে গ্রহণ করেছি নামের কারণে। কারণ নামটি ইন্দিরা গান্ধি। তিনি না থাকলে আমাদের কী দশা হতো। তিনি আমাদের দেশ, আমাদের বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক। তিনি দেখলাম এই পুরস্কারটি পাওয়ায় খুশি। এটি আমার নয়, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন আমাদের নতুন করে দেখাচ্ছেন। আর আমার কর্মীরা যারা রাতের পর রাত জেগে কৃষকদের ১০ টাকার একাউন্ট খুলে দিচ্ছেন। আর যারা বাংলাদেশেকে প্রতিদিন অর্থনীতিক ভাবে বদলে দিচ্ছেন।